*স্টাফ রিপোর্টার*
কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের মারিয়া ইউনিয়নে মহিউদ্দিন সাহেবের মাজারে বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবনসহ ইসলাম বিরোধী অনৈতিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক বরাবরে দুই’শ জনের স্বাক্ষরিত মোবাইল নাম্বারসহ লিখিত অভিযোগ করেন রংগারকোনা, স্বল্পমারিয়া, চরমারিয়া ও ঘোষেরকান্দি গ্রামের বাসিন্দারা।
গত ১২ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দুই’শ জনের স্বাক্ষরিত অভিযোগটি করেন এলাকাবাসীর পক্ষে মো: আনোয়ার হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হন মাজার পক্ষের লোকজন, যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগন মারিয়া ইউনিয়নের রংগারকোনা, স্বল্পমারিয়া, চরমারিয়া ও ঘোষেরকান্দি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। উক্ত গ্রামগুলো শতভাগ মুসলিম ও প্রায় বিশ হাজার লোকের স্থায়ী বসবাস। এ চারটি গ্রামের মধ্যে প্রায় ৮টি মসজিদ ও ৪টি মাদ্রাসা রয়েছে।
কয়েক বছর পূর্ব থেকেই রংগারকোনা গ্রামের মহিউদ্দিন তাহার নিজ বাড়ীতে কবিরাজী করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কথিত লোক মুখে শুনা যায় তিনি জীনসাধন করে চিকিৎসা করতেন। মৃত্যুর পর তাঁর কবরকে কেন্দ্র করে তাঁর কিছু অনুসারীরা এটাকে মাজার হিসেবে প্রচার করে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড চালাচ্ছে, যা দিনে দিনে বেড়ে চলছে এবং প্রতি সোমবার মিলাদ মাহফিলের নামে একত্রে নারী পুরুষ ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের মাধ্যমে নাচ/গান, মাজারে সেজদা, মোমবাতি ও আগর বাতি জ্বালানো, বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবনসহ ইসলাম বিরোধী অপকর্ম করে। এছাড়াও প্রতি বছর ওরশের নামে সারা রাত গান বাজনা, মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্যে এলাকার যুব সমাজকে নেশায় আসক্ত করছে।
স্থাণীয় কিছু পেশীশক্তির লোকজনের সহায়তায় এই সব কর্মকান্ড হয়ে থাকে। এছাড়াও মাজারের খাদেম সিরাজ উদ্দিন ফকির নিকলির বাসিন্দা। বিগত কিছুদিন পূর্বে তার ফেইজবুকে ইসলাম বিরোধী একটি স্টেটাস দেন। তার এ ইসালাম বিরোধী স্টেটাসে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় স্থানীয় এলাকাবাসী, যুবদল ও ছাত্রসমাজের মাঝে।
পরে স্থানীয় লোকজন, আলেম সমাজ, ছাত্রসমাজ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃদ্ধের উপস্থিতিতে একটি সাত (৭) সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি গঠন করেন। এবং ১৫ দিনের মধ্যে মাজার পরিচালনা জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু মাজারের অনুসারীগণ উক্ত সমন্বয় কমিটিকে অমান্য করে গোপনে একটি মাজার কমিটি গঠন করে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে, যার ফলে আবারো এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে। যে কোন মূহুর্তে ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্খিত ঘটনা বা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
প্রশাসনিক ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগের অনুলিপিটি দেওয়া হয়েছে- পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ মডেল থানা, কমান্ডার র্যাব-১৪ ও উপ-পরিচালক, ইসলামী ফাউন্ডেশন, কিশোরগঞ্জ বরাবর। অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে এবং এলাকাবাসী বলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবস্থা না নিলে আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবেন তারা।
প্রযুক্তি সহায়তায়: Star Web Host It
Leave a Reply