গোধূলি লগ্নে ভালোবাসার রক্তিম রং
মোঃ মিলন হক
আমতলী গ্রামের প্রতাপশালী হাশেম আলীর একমাত্র পুত্র হাসান আলী। হাসান আলী
একজন ছাব্বিশ বছরের লম্বা, মোটা,শ্যামলা বর্ণের একজন যুবক। মুখে গোঁফ ,দাড়ি রয়েছে ।তার নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে ধান ,গম,ভুট্টা ,পাটের। ব্যবসার সুবাদে বিভিন্ন গ্রামে যায় ।
হাসান আলী একদিন ধান কিনতে শিমুলতলী গ্রামের সৈকত আলীর বাড়ি যায় । সৈকত আলী একজন দরিদ্র কৃষক । তার নিজস্ব জমি নেই । অন্যের জমি লিজ, বর্গা নিয়ে কৃষি কাজ করেন।
সৈকত আলী অক্ষর জ্ঞানহীন মানুষ। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে । বড়ছেলে ঢাকায় একটি চায়ের ফ্যাক্টরীতে কাজ করে। আরেক ছেলে ছোট । তার মেয়ের নাম হালিমা। হালিমা দ্বাদশ শ্রেণীর মানবিক শাখার একজন মেধাবী ছাত্রী।
হালিমা দেখতে বেশ লম্বা,স্বাস্থ্যবতী, ফর্সা , মুখের আকৃতি গোলাকার।
সৈকত আলীর কাছ থেকে হাসান আলী পঁচিশ`শ টাকা দরে, এগারো মণ ধান কিনে নেয়। হাসান আলী সাড়ে চার হাজার টাকা দেওয়ার পরে, বাকি টাকা পরবর্তী পাঁচ দিন পর দিতে চাই । হাসান আলীর নাম্বার সৈকত আলী নেয়,
পাঁচ দিন পর কল দেওয়ার জন্য। সৈকত আলীর কাছে মোবাইল নেই। তার মেয়ে হালিমার মোবাইল দিয়ে, কল দেয় হাসান আলীকে।
সৈকত আলী পাঁচ দিন পর, হাসান আলী কে কল দেয় টাকা নেওয়ার জন্য । হাসান আলী ধান কেনার জন্য, পাশ্ববর্তী বোয়ালিয়া গ্রামে গেছে । হাসান আলী ধান নিয়ে আসতে দেরী হবে, বলে জানাই সৈকত আলীকে। হাসান আলী পরের দিন সন্ধ্যায় শিমুলতলী বাজারে দেখা করতে বলে। পরের দিন ও হাসান আলী ধান কেনার জন্য কৃষাণপুর গ্রামে যায়। সেদিন ও কল দিয়ে সৈকত আলী হতাশ হয়। পরের দিন বিকালে হাসান আলী কল দিয়ে হালিমাকে বলে,` চাচা কে বলবেন , আমি তিন দিন থাকবো না। ধানের গাড়ি নিয়ে শহরে যাবো । শহর থেকে এসে চাচা কে টাকা দিবো।`
তিন দিন পর হাসান আলী শহর থেকে, ধান বিক্রি করে সকালে বাড়িতে আসে। বিকালের দিকে বটতলী গ্রামের তার ধানের গুডাউনে যাওয়ার পথে, হালিমার সঙ্গে দেখা হয়।
বটতলীর বাজার আমতলী ,শিমুলতলী, কদমতলীর বাজারের থেকে বড়। বটতলীর বাজারের পাশে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা আছে ।
হালিমা তার বান্ধবীদের সঙ্গে কোচিং শেষ করে বাড়ি যাচ্ছিলো। হাসান আলী হালিমাকে বলে, `চাচাকে সন্ধ্যায় শিমুলতলীর বাজারে দেখা করতে বলবেন।` হাসান আলী সন্ধ্যায় সৈকত আলীকে বাকি টাকা পরিশোধ করে দেয়।
পরের দিন বিকালে হাসান আলী গুডাউনে দাঁড়িয়ে ব্যবসার হিসাব নিয়ে ভাবতে ভাবতে পায়চারী করছিলো,এমতাবস্থায় হালিমাকে দেখতে পায়।
হালিমার সঙ্গে কথাবার্তায় বেশ পছন্দ হাসান আলীর হয়েছে। হাসান আলী ভাবে হালিমা রূপবতী ও আছে। বিয়ে করতে পারলে মন্দ হতো না!
প্রযুক্তি সহায়তায়: Star Web Host It
Leave a Reply